আমি কবি
প্রবীণ কভু নহি আমি,
অন্তরে যৌবন আমার
বাসা বাঁধা সারাক্ষণ।
ফুল কভু নাহি ঝরে
ভুবনে আমার,
আমি দেখি শীর্ণকায়া
বর্ষিয়ান রমণীর চোখ
ষোড়শীর মায়া হরিণ চোখের
মতো জ্বলছে অনুখন,
দেখি বিগত যৌবনার ঠোঁটে দীপ্ত
অমৃত সুধা,
গ্রীবাদেশ যেন তার ছন্দময় দেহলতা,
শষ্যহীন ভূমিতে দেখি সূর্যমুখীর হাসি।
দেখি প্রিয়ার চোখে অশ্রুর অমিত ধারা,
দেখি শ্মশানের বুকে নিত্য কোলাহল,
কবরে শান্তির নীরবতা।
আমি মুক্তপ্রাণ এক বাঁধাহীন সংশয়
আমি আপনারেই পূজি,
অপর কাহারে নয়।
আমি পরাভব নাহি মানি কভু,
যতো অকল্যাণ,ভয়,অদৃশ্যবাদ
কিছুতেই নই ভীত আমি,
আমি মুক্তপ্রাণ এক নির্ভিক কপোত
উড়ি নিঃসীম মুক্ত গগনে,
ছুটে চলি সৃষ্টির মহা মিলনে।
রমণীর স্মৃতির মেলায় জাজ্বল্য
প্রেমিক আমি,
আমি চাইনা হারাতে এ ধরণীতে
চাই যে বাঁচতে চিরকাল।
আমি যে কবি এক
বাঁচাই আমার চেষ্টা সদা,
আমি সুন্দরের মহাপ্রাণ।
নিত্য হাস্যমান আমি
আমার কাছে সুন্দর সব-ই
অন্ধকার,কালো সব
যেন রূপসী অপরূপ
চোখেতে আমার,
তাই আমি কবি।
রচনাকাল:০১ মে ২০২২
লেখক পরিচিতি :
আবদুর রব শিকদার
( মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট লেখক, কবি, সংগঠক এবং সমাজনেতা)
লেখক ঠিকানা: লাকার্তা, ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর ।
জন্ম: ১৬ আগষ্ট ১৯৪৭ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নস্থ লাকার্তা গ্রামে। শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস- “শরীয়তপুর অতীত ও বর্তমান” এর লেখক। বাংলা সাহিত্যের দীর্ঘতম প্রেমপত্র ইতি তোমারই নাঈম আবদুর রব শিকদার এর অনবদ্য অবদান। ২০২১ সালে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর লেখক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ‘অতুলপ্রসাদ সেন-আবু ইসহাক সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন আঞ্চলিক ইতিহাস রচনায়। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জনাব শিকদার দাদা নাতির মধুর সম্পর্ককে অধিকতর নিবিড় করার লক্ষ্যে গ্র্যান্ড পেরেন্টস ডে সেলিব্রেশন কাউন্সিল বা জিডিসিসি বাংলাদেশ নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।