বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত

 আমার সোনার বাংলা গানটির গীতিকার ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধের আন্দোলনের সময় পূর্ব ও পশ্চিম উভয় বঙ্গকে একত্রীভূত করার উদ্দেশ্যে  এ গানটি রচনা করেন। গানটি ১৯০৫ সালের ৭ আগষ্ট কোলকাতার বিরোধী আন্দোলনের সমাবেশে প্রথম গাওয়া হয়। গানটিতে বাংলার প্রকৃতির কথা প্রধানভাবে স্থান পায়। ১৩১২ বঙ্গাব্দে (১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়  প্রথম প্রকাশিত প্রকাশিত হয়। গানটি রবীন্দ্রনাথের ‘গীত বিতান’ গ্রন্থের স্বরবিতান অংশভুক্ত। চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার বিখ্যাত ‘জীবন থেকে নেওয়া’ কাহিনী চিত্রে এ গানের চলচ্চিত্রায়ন করেন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ তারিখে পল্টন ময়দানে ঘোষিত স্বাধীনতার ইশতেহারে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বাংলাদেশের সংবিধানে  এই গানকে জাতীয় সংগীত হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। এটি ছিল মূলত একটি কবিতা। ২৫ চরণ বিশিষ্ট এই  এই কবিতার প্রথম ১০ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। তবে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রথম ৪ চরণ বাজানো হয়। জাতীয় সংগীতের ইংরেজী অনুবাদ করেন সৈয়দ আলী আহসান। 

জাতীয় সংগীত নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 

 আমাদের জাতীয় সংগীতের ইংরেজী অনুবাদ করেছেন কোন কবি? -  সৈয়দ আলী আহসান

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে যে বিষয়টি প্রধানভাবে আছে: বাংলার প্রকৃতি কথা

বাংলাদেশ ছাড়া কোন দেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত করেছে: ভারত 

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটির প্রেক্ষাপট কি ছিল? Natural beauty of Bangladesh (বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال