দিঘির জলে চাঁদের ছায়া
মুহাম্মদ ইব্রাহীম

 মুহাম্মদ ইব্রাহীম
শরিয়তপুর জেলায় কেদারপুর গ্রামের অধিবাসী। 

লেখক পরিচিতিঃ ৯ই নভেম্বর ১৯৯ সালের শরিয়তপুর জেলায় কেদারপুর গ্রামে জন্ম । পিতা: ফজলুল হক, মাতা: সেলিনা হক, লেখালেখি শুরু হয় ছাত্রজীবন থেকেই। সহজ ও সাবলিল ভাষায় গল্প বলে পাঠককে মুদ্ধ করার ক্ষমতা রয়েছে তার। উপন্যাস, ছোটগল্প ও সায়েন্স ফিকশন লিখে তিনি অত্যাধিক আনন্দ পান। বর্তমানে তিনি স্থায়ীভাবে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ফেসবুকে তিনি সকলের কাছে ‘কবি সাহেব’ নামে অধিক পরিচিত ।

গল্প সংক্ষেপঃ পৃথিবীর সবচেয়ে রুপবতী মেয়েটি জহিরকে জোসনা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই আমন্ত্রণ উপেক্ষা করার ক্ষমতা জহিরের নেই। সে শফিক স্যারের বাড়ি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে গেল।শফিক স্যারও তার পিছু ছুটলো। এই জহির ভাই দাঁড়ান, কই যাইতাছেন? জহির বলল, পরীর কাছে।

কি বলেন কিছুই তো বুঝি না । আমার বাসায় থাকবেন না?

না,

না কেন?

একটা পরী আমাকে তার সাথে জোসনা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আজ সারারাত সেই পরীর সাথে জোসনা বিলাস করবো।

কি বলেন এই সব আবোল তাবোল, দাঁড়ান তো ভাই ।

দাঁড়ানোর সময় নাই। আপনি বাসায় ফিরে যান। কাল সন্ধ্যায় ইউসুফ কাকার বাসায় চলে আসবেন। পরীর সাথে আমার ‍বিয়ে হবে ।

শফিক স্যার দাঁড়িয়ে গেল, এই ছেলে মনে হয় পাগল হয়ে গেছে । এর পিছু দৌড়ানোই বৃথা। কি সব আবোল তাবোল বলছে । পরীর সাথে আবার বিয়ে হয় নাকি। বিয়ে হলে মানুষের সাথে হবে, পরীর সাথে কেন? জহির দৌড়াচ্ছে। চাঁদের আলোয় রাস্তা-ঘাট ঝকমক করছে। জহিরের দৌড়াতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। হঠাৎ তার সামনে সে দুইটা ছায়া দেখতে পেল। ছায়া মূর্তি দুইজন স্পষ্ট হলো । তাদের শরীর কালো চাদরে ঢাকা। চেহারা মাফলার দিয়ে বাধা, শুধু চোখ দেখা যাচ্ছে। মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে রাখায় জহির তাদের চিনতে পারলো না। জহির বলল, পথ আগলে দাঁড়ালে কেন, আপনারা কারা? লোক দুইজন কোন উত্তর দিল না। সামনের জন পিছনের জনকে ইশারা করল। সাথে সাথে সে কালো চাদরের ভেতর থেকে ধারালো ছুরি বের করলো। চাঁদের আলোয় সেই ছুরি ঝিকমিক করে উঠল!

দিঘীর জলে চাঁদের ছায়া বই থেকে নেয়া।

email: kobishaheb700@gmail.com

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال